আজ জামালপুরের ডিসি কবির সাহেব ভাইরাল আর কত সাহেব আছে তাদেরটা তো ভাইরাল হয় না। তাদের বলছি অফিসার আপনি যা করছেন তা আপনার দুই কাঁধের দুই ফেরেশতা তাদের ক্যামেরায় ভিডিও করে নিচ্ছে। পরকালে তা এইচডি পর্দায় দেখানো হবে এবং এর কঠিনতম বিচার হবে বিশ্বাস করুন। যে বা যাহারা জামালপুরের ডিসির ভিডিও ফাস করেছেন হোক লোভ লালসা বা খোব থেকে আপনি ফেরেস্তার কাজ করিয়েছেন । এদের মতন এই কবির সাহেব আধুনিক অনেক মেয়েদের স্বপ্নের পুরুষ(ক্যাডার)। জীবনে ক্যাডার সাথী হওয়া ভাগ্যবান না, ভাগ্যবান হলো একজন সরল সচ্চরিত্রতা ও চারিত্রিক গুণাবলীসম্পূন মানুষের সাথী হওয়া।
আজ কবির সাহেবের স্ত্রীর জন্য খুব খারাপ লাগছে, কি ছিল না উনার ভিতর যার জন্য উনার আজ এমন লজ্জিত হতে হলো । উনার কেমন লাগছে জানি না তবে আমরা অনুভব করতে পারি এর চেয়ে একটা ভ্যান ড্রাইভার সুইপারের জীবন সাথী হওয়া উনার জন্য অনেক সম্মানের ছিল । আমি সুইপার এবং ড্রাইভারকে এখানে অসম্মান করছি না। বরং তাদের বড় করে দেখছি।
কবির সাহেবের সহকারী ওই পতিতা মহিলা যারও নিজ পরিবার আছে তিনি ও সমান পাপী । পৃথীবীর সবচেয়ে দামী জিনিস যদি থেকে থাকে তা হলো একটা মেয়ের দেহ । যা টাঁকার হিসেবে বা পদের হিসেবে নিজকে বিলিয়ে বা বিক্রি করে দেওয়া মানে হলো নিজকে সস্তা করে দেওয়ার সামিল । আর এদের কারনেই সমাজে মেয়েদের নানাভাবে ব্যাখা করে হয় । বেশ ক বছর আগে কিছু মেয়েদের কিছু ব্যাখ্যা পড়েছিলাম সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্যে যখন তা বুঝি নাই, যা আজ দিন দিন সত্যি মনে হচ্ছে । কথাগুলোছিল এই রকম ছিল ,যেসব মেয়েরা সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে দেহ বিক্রি করে সমাজ তাঁদের বলে পতিতা । যেসব মেয়েরা হাজার টাকার বিনিময়ে লুকিয়ে দেহ বিক্রি করে সমাজ তাদের বলে সোসাইটি গার্ল । আবার লিটনের ফ্লাটের কিছু জাস্ট ফ্রেন্ড নামের কিছু
আছে । যারা আরও বেশী দামে দেহ বিক্রি করে সমাজ তাদের বলে মডেল গার্ল বা অভিনেত্রী। সমাজের অনেকের চোখে এরা আবার ড্রিমগার্ল ! তাদের আবার ভিডিও বের হয় । কেয়ামত আর বেশী দূরে নয় এটাই কেয়ামতের আলামত যখন নারী হবে সবচেয়ে সস্তাবস্তু । আমি এখানে সকল অভিনেত্রী বা মা জাতদের ছোট করে কিছু বলছি না কিছু পতিতাদের উদ্দেশ্যে বলছি। যাদের জন্য আজ নষ্ট হচ্ছে সমাজ। এখানে পতিতা আর তাকে ভক্ষঙ্কারী সমান পাপী ।
পৃথিবীর কোন পাপ গোপন থাকে না বিস্বাস করুন। মানুষের মন হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আদালত। অপরাধ যত ছোট বা বড় হোক না কেন প্রত্যেক ব্যক্তিকেই তার স্বীয় কৃত কাজের জন্য একটা সময়ে প্রচন্ড রকম অনুশোচনায় ভুগতে হয়। অনুশোচনার কারনেই মানুষের মনুষ্যত্ব টিকে আছে। মানুষ একমাত্র তাদেরই বলা যায়,যাদের মানবতা এবং মনুষ্যত্ব জ্ঞান বলে কিছু রয়েছে।
একজন মানুষ তার পেশায় ব্যক্তিপ্ত বড় হয় না বরং তার চরিত্রগুনে তার ব্যক্তিপ্ত ফুটে ওটে। চরিত্র মানব-জীবনের অবিচ্ছেদ্য বিষয় । মানুষের জীবন ও কর্মের মহিমা তার চরিত্রের আলোকেই পায় দীপ্ত। মানুষ তার চরিত্র-বৈশিষ্ট্য অনুসারেই কাজ ও চিন্তা করে এবং সেই অনুযায়ীই সমাজ-জীবনে ভূমিকা রাখে। মানুষের জীবনে চরিত্র যেন অলঙ্কার ও সম্পদ। সচ্চরিত্রবান লোকের মধ্যে উত্তম গুণাবলির সমাবেশ ঘটে তাদের মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ যেমন বসন তেমনি মানবতাবোধও প্রবল। তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্ছার এবং ন্যায়ের পক্ষে দণ্ডায়মান। তাদের আদর্শ সকল প্রতিকূল অবস্থার মাঝে অটল থাকে। দ্বেষ-বিদ্বেষ, লোভ-লালসা, ধন-বিলাসের মোহ তাদেরকে স্পর্শ করতে পারে না। সহানুভূতি, প্রেম, ভালোবাসা, আত্মসংযম, ন্যায়পরায়ণতা, সত্যনিষ্ঠা, আল্লাহ ভক্তি তাদের চরিত্রে এক বিশেষ মাত্রা দান করে। "আমি ভালো মানুষ হিসেবে বাঁচি, সম্মানের সাথে থাকি" এটাই হোক প্রত্যেক মানুষদের জীবনী ।
২৬-৮-২০১৯
আল-মারুফ মৃধা
ওয়েবঃ www.almarufmridha.com
Good post
উত্তরমুছুন