কোন ভাষায় পড়তে চান সিলেক্ট করুন

সোমবার, ১ মে, ২০১৭

মুহূর্ত অনুভূতি (৫) - বেয়াদব লাই দিতে নাই

বেয়াদব লাই দিতে নাই 

কিছু জুনিয়ার ছেলে উড়ে এসে জুড়ে তুই তুই বলা শুরু করে ।
ওর হইতো ধারণা নাই ও যাকে তুই বলে তাকে যদি ও তুই বলে, তা হলে সে তার নিজ বাবাকেও সে তুই বলার অধিকার রাখে !
আজ কিসের জোরে তাকে তুই বলা শুরু করলে আপনি তার চেয়ে বেশি সাটিফিকেটের অধিকারী তাই ।এখানে বয়স আপনার কাছে ব্যাপার না আপনার কাছে আপনার সাটিফিকেট বড় ।আপনি হইতো খেয়াল করলে দেখবেন আপনি আপনার বাবা বা আপনার দাদার চেয়ে বেশি সাটিফিকেটের অধিকারী। তো আপনার বাবাকে বা দাদাকে এখন তুই তুই করে বলেন । আপনার দাদা যদি বেচে না থাকে তবে তার কবরের কাছে কি যাইয়্যা বলেন আপনি অনেক শিহ্মিত ।আমি বলতে চাই না আপনি কেমন শিহ্মত ??
ইদানিং কিছু জুনিয়ার বাশ তলার আত্নীয়ের মতন মতন খুজে খুজে তুই বলে ওই যে ওর সাথের আরেক বন্ধু তাহাকে তুই বলে , তাই ওর ও তুই বলা লাগবে ।
এ যেন এক প্রতিযোগিতা যে যত মানুষকে তুই বলতে পারবে সে তত পাওয়ারফুল তত জনপ্রিয় । অপরিচিতদের তুই করে যে আগে বলতে পারবে সে এই পাওয়ারফুল বা জনপ্রিয়তার খেলায় জয়ী ।
চারদিকে নেতা আর নেতা মানুষ আর নেতার পরিমান এখন সমান ।আহা কি সুন্দর সমতাবিধান । তাদের বলতে চাই না অন্যকে সম্মান করলে আপনার সম্মান কমবে না ।
চারদিকে নেতা আর নেতা হওয়ার প্রতিযোগিতা , যে যত পারে নেতা হওয়ার স্কিল গড়ে নেও । চেষ্টা করবে না কেন চারদিকে চামচাবাজী আর মাস্তানির জয়-জয়কার। কে যাবে এতো কষ্ট করতে ।

এখন কেউ উদ্যেক্তা হওয়ার চেষ্টা করে না ।উদ্যেক্তা হতে যে স্কিল লাগবে তার পিছে কেউ ছুটতে চায় না ।ছুটবে কেন যখন স্কিল গড়ার সময় ছিল তখন চামচা বাজিতে সময়টা শেষ করে দিছে তাই ছুটে আবার সেই নেতার পিছে যদি একটা কিছু হয় ।