কোন ভাষায় পড়তে চান সিলেক্ট করুন

সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৯

সিসি ক্যামেরা যখন সাক্ষাৎ ফেরেস্তা - আল মারুফ মৃধা


আজ  জামালপুরের ডিসি কবির  সাহেব ভাইরাল আর কত সাহেব আছে তাদেরটা তো ভাইরাল হয় না।  তাদের বলছি  অফিসার  আপনি যা করছেন তা আপনার দুই কাঁধের দুই ফেরেশতা তাদের ক্যামেরায় ভিডিও করে নিচ্ছে। পরকালে  তা এইচডি পর্দায় দেখানো হবে এবং এর কঠিনতম বিচার হবে বিশ্বাস করুন। যে বা যাহারা জামালপুরের ডিসির ভিডিও ফাস করেছেন হোক লোভ লালসা বা খোব থেকে আপনি ফেরেস্তার কাজ করিয়েছেন । এদের মতন এই কবির সাহেব আধুনিক অনেক মেয়েদের স্বপ্নের পুরুষ(ক্যাডার)। জীবনে ক্যাডার সাথী হওয়া ভাগ্যবান না, ভাগ্যবান হলো একজন সরল সচ্চরিত্রতা ও চারিত্রিক গুণাবলীসম্পূন মানুষের সাথী হওয়া।

আজ  কবির সাহেবের স্ত্রীর জন্য খুব খারাপ লাগছে, কি ছিল না উনার ভিতর যার জন্য উনার আজ এমন লজ্জিত হতে হলো । উনার কেমন লাগছে জানি না তবে আমরা অনুভব করতে পারি এর চেয়ে একটা ভ্যান ড্রাইভার সুইপারের জীবন সাথী হওয়া উনার জন্য  অনেক সম্মানের ছিল । আমি সুইপার এবং ড্রাইভারকে এখানে অসম্মান করছি না। বরং তাদের বড় করে দেখছি।

কবির সাহেবের সহকারী ওই পতিতা  মহিলা যারও নিজ পরিবার আছে তিনি ও সমান পাপী । পৃথীবীর সবচেয়ে দামী জিনিস যদি থেকে থাকে তা হলো একটা মেয়ের দেহ । যা টাঁকার  হিসেবে বা পদের হিসেবে নিজকে বিলিয়ে বা বিক্রি করে দেওয়া মানে হলো নিজকে সস্তা করে দেওয়ার সামিল ।  আর এদের কারনেই সমাজে মেয়েদের নানাভাবে ব্যাখা করে হয় । বেশ ক বছর আগে কিছু  মেয়েদের কিছু ব্যাখ্যা পড়েছিলাম সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্যে  যখন তা বুঝি নাই,  যা আজ দিন দিন সত্যি মনে হচ্ছে । কথাগুলোছিল এই রকম ছিল ,যেসব মেয়েরা সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে দেহ বিক্রি করে সমাজ তাঁদের বলে পতিতা । যেসব মেয়েরা হাজার টাকার বিনিময়ে লুকিয়ে দেহ বিক্রি করে সমাজ তাদের বলে সোসাইটি গার্ল । আবার লিটনের ফ্লাটের কিছু জাস্ট ফ্রেন্ড নামের কিছু
আছে । যারা আরও বেশী দামে দেহ বিক্রি করে সমাজ তাদের বলে মডেল গার্ল বা অভিনেত্রী। সমাজের অনেকের চোখে এরা আবার ড্রিমগার্ল ! তাদের আবার ভিডিও বের হয় । কেয়ামত আর বেশী দূরে নয় এটাই কেয়ামতের আলামত যখন নারী হবে সবচেয়ে সস্তাবস্তু ।  আমি এখানে সকল অভিনেত্রী  বা মা জাতদের ছোট করে কিছু বলছি না কিছু  পতিতাদের উদ্দেশ্যে বলছি। যাদের জন্য আজ নষ্ট হচ্ছে সমাজ। এখানে পতিতা আর তাকে ভক্ষঙ্কারী সমান পাপী ।

পৃথিবীর কোন পাপ গোপন থাকে না বিস্বাস করুন।  মানুষের মন হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আদালত।  অপরাধ যত ছোট বা বড় হোক না কেন প্রত্যেক  ব্যক্তিকেই তার স্বীয় কৃত কাজের জন্য একটা সময়ে প্রচন্ড রকম  অনুশোচনায় ভুগতে হয়। অনুশোচনার কারনেই মানুষের  মনুষ্যত্ব  টিকে আছে।  মানুষ একমাত্র তাদেরই বলা যায়,যাদের মানবতা এবং মনুষ্যত্ব জ্ঞান বলে কিছু রয়েছে।

একজন মানুষ তার পেশায় ব্যক্তিপ্ত বড় হয় না বরং তার চরিত্রগুনে তার ব্যক্তিপ্ত ফুটে ওটে। চরিত্র মানব-জীবনের অবিচ্ছেদ্য বিষয় । মানুষের জীবন ও কর্মের মহিমা তার চরিত্রের আলোকেই পায় দীপ্ত। মানুষ তার চরিত্র-বৈশিষ্ট্য অনুসারেই কাজ ও চিন্তা করে এবং সেই অনুযায়ীই সমাজ-জীবনে ভূমিকা রাখে। মানুষের জীবনে চরিত্র যেন অলঙ্কার ও সম্পদ।  সচ্চরিত্রবান লোকের মধ্যে উত্তম গুণাবলির সমাবেশ ঘটে তাদের মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ যেমন বসন তেমনি মানবতাবোধও প্রবল। তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্ছার এবং ন্যায়ের পক্ষে দণ্ডায়মান। তাদের আদর্শ সকল প্রতিকূল অবস্থার মাঝে অটল থাকে। দ্বেষ-বিদ্বেষ, লোভ-লালসা, ধন-বিলাসের মোহ তাদেরকে স্পর্শ করতে পারে না। সহানুভূতি, প্রেম, ভালোবাসা, আত্মসংযম, ন্যায়পরায়ণতা, সত্যনিষ্ঠা, আল্লাহ ভক্তি তাদের চরিত্রে এক বিশেষ মাত্রা দান করে। "আমি ভালো মানুষ হিসেবে বাঁচি, সম্মানের সাথে থাকি" এটাই হোক প্রত্যেক মানুষদের জীবনী ।

২৬-৮-২০১৯
আল-মারুফ মৃধা
ওয়েবঃ www.almarufmridha.com

সোমবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

নাম বিকৃত করা গুনাহের কাজ - আল মারুফ মৃধা


প্রত্যেক ব্যাক্তিই তার নামকে সবচেয়ে বেশী ভালবাসে যে কারনে সে কখনই চায় না তার কেও বিকৃত বা ব্যাঙ্গাত্বক ভাবে ডাকুক । নামের মালিককে সবার কাছে হাস্যকর ভাবে উপস্থাপন করা, বিকৃতি করা , হাসি ঠাট্টা করার জন্য উপনাম দেয়া ব্যাক্তির হক নষ্ট করার নামন্তর।মানুষকে অপমান করা বা ঠাট্টা মসকরা করার জন্য তার নাম বিকৃত করা কবীরা গুনাহ এবং তা গীবতের শামিল।

সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মাখলুক মানুষের নামকে ভেংচিয়ে, বিদ্রুপাত্বক ভাবে, অথবা নাম পরিবর্তন করে অন্য নামে ডাকা বড় ধরনের গুনাহের কাজ । সুন্দরতম নাম সমূহের অধিকারী আল্লাহ, অতএব তোমরা সেসব নাম ধরে তাঁকে ডাকো।
যারা তাঁর নাম বিকৃত করে তাদেরকে বর্জন করো, তাদের কৃত কর্মের ফল তাদেরকে দেওয়া হবে। নাম বিকৃত করা আমাদের সমাজের স্বাভাবিক চিত্র।

কখনো আদর করেও নামের বিকৃতি হয়। যেমন ছোট বোনের নাম রোজিনা। ঘরের সবাই ডাকে রোজিবলে! এমন ডাকাটা অপরাধ নয়। নামের ভাব অর্থ ও ব্যক্তির প্রতি সম্মান বজায় রেখে সংক্ষিপ্ত করা বা নামের অংশ বৃদ্ধি করা যেতে পারে। কিন্তু কাউকে অপমানমূলক বা হেয় করার জন্য কিংবা সাধারণ দুষ্টুমি করে বিকৃত নামে ডাকা হয়! এবং সেই ডাকার কারণে নামের অর্থ-ভাব-মর্যাদা নষ্ট হয় তাহলে ইসলামের দৃষ্টিতে কাজটি গুনাহের তালিকাভুক্ত। যেমন শফিকুর রহমান নামের সুস্থ সবল মানুষটিকে সইখ্যাবলে ডাকা!

সমাজে এটাও দেখা যায়, মানুষের মূল নাম বাদ দিয়ে ভিন্ন নামে ডাকেন এটাও ঘৃণিত।

যখন আপনি কারও নাম সঠিক ভাবে উচ্চারণ করেন বা লেখেন তখন তার অবচেতন মনে একধরনের ধারনা সৃষ্টি হয় যে, আপনি তার বিষয়ে যথেষ্ঠ যত্নশীল। এতে তিনি আপনার প্রতি খুশি হন এবং প্রভাবিত হন। কখনও কখনও বন্ধু-বান্ধবরা মজা করতে যেয়ে একে অপরকে উপনাম অথবা বিকৃত নামে ডেকে থাকে। মজা করতে যেয়েও এই ধরনের উপনাম অথবা বিকৃত নামে কাউকে ডাকা উচিত নয়। কারন মজা করার জন্য হলেও কোনো মানুষের অবচেতন মন এটাকে ভাল জিনিস হিসেবে গ্রহণ করে না। এই বিকৃত মজা নিতে যেয়ে কাউকে উপনাম অথবা বিকৃত নামে ডাকলে আসলে তা আপনার নিজের ব্যক্তিত্বের আকর্ষনটাই নষ্ট করবে।

তাই সঠিক ভাবে নাম লিখুন এবং উচ্চারণ করুন ।
আল্লাহ তায়ালা কোরআনে কোনো মানুষকে বিদ্রুপাত্মক নামে ডাকতে নিষেধ করেছেন এবং অন্যত্র প্রত্যেককে তাদের পিতার নামানুসারে ডাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।মানুষকে ভিন্ননামে ডাকা, কটূক্তি করার মানে হলো তার কাছে ঋণী থাকা। অনেক সময় বন্ধু-বান্ধব বা কাছের আত্বীয়রা মজা করতে যেয়ে একে অপরকে উপনাম অথবা বিকৃত নামে ডেকে থাকে। মজা করতে যেয়েও এই ধরনের উপনাম অথবা বিকৃত নামে কাউকে ডাকা উচিত নয়। কারন মজা করার জন্য হলেও কোনো মানুষের অবচেতন মন এটাকে ভাল জিনিস হিসেবে গ্রহণ করে না। এই বিকৃত মজা নিতে যেয়ে কাউকে উপনাম অথবা বিকৃত নামে ডাকলে আসলে তা নিজের ব্যক্তিত্বের আকর্ষনটাই নষ্ট করে। কাজেই সাময়িক আনন্দ লাভের জন্য, একটু হাসি-মশকরার জন্য অন্যায়ভাবে কাউকে ডেকে গুনাহের পাল্লা ভারি করা । 
উৎস ঃ 

রবিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

মানুষ অভ্যাসের দাস – আল মারুফ মৃধা

অভ্যাস গঠন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি আচরণ, নিয়মিত পুনরাবৃত্তির দ্বারা, স্বয়ংক্রিয় অথবা স্বভাবসিদ্ধ হয়ে যায়। অভ্যাস হল এমন একটি পছন্দ যা আমরা ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু সময়ের জন্য করি এবং তারপর সে পছন্দ সম্পর্কে চিন্তা করা বন্ধ করে দিই, কিন্তু সে পছন্দটা চালিয়ে যাই অবিরত।

আমরা অভ্যাসকে দুই ভাগে ভাগ করে থাকি যেমনঃ 
  •  ভালো অভ্যাস
  •  খারাপ অভ্যাস

ভালো অভ্যাসঃ  সততা, সকাল সকাল ঘুমোতে যাওয়া এবং খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, অন্যায়ের প্রতিবাদ করা এবং বড়দের সম্মান করা ভালো অভ্যাস ।
খারাপ অভ্যাসঃ ধূমপান, মদ্যপান, মাদক গ্রহণ, মিথ্যা কথা বলা, অধিক খাদ্য গ্রহণ, উৎকোচ গ্রহণ, প্রয়োজনের অধিক দ্রব ক্রয় এবং হিংসা খারাপ অভ্যাসের অন্তর্ভুক্ত।

মানুষ অভ্যাসের দাস ,নাকি অভ্যাস মানুষের দাস
  •  যখন বড় লোকের ছেলেরা ১০টা বাজার আগে ঘুম থেকে উঠতে পারে না তখন সেটা মানুষ অভ্যাসের দাস।
  •  ঠিক যখন কোন মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে কাজের জন্য সকাল ৬টাই ঘুম থেকে উঠে সেটা অভ্যাস মানুষের দাস।

শত শত অভ্যাস আমাদের দিনকে প্রভাবিত করে। তারা আমাদের গাইড করে-আমরা কিভাবে সকালে পোশাক পরি, কিভাবে অন্যদের সাথে সঙ্গে কথা বলি এবং কিভাবে বা কখন রাতে ঘুমাতে যাই , তারা প্রভাবিত করে আমরা দুপুরের খাবারে কী খাই, আমরা কিভাবে ব্যবসা করি । এখানে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসতে পারে, মানুষ কেন তাহলে একটা ভালো অভ্যাসের পরিবর্তে একটা খারাপ অভ্যাস গ্রহণ  করে ? ‘সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে। হ্যাঁ, মানুষ তার অভ্যাসের একটা বড় অংশ গ্রহণ করে তার আশপাশ  যার মধ্যে পড়ে পরিবার, আবাস এলাকা, স্কুল, কর্মক্ষেত্র, বন্ধু সমাজ ইত্যাদি । একজন মানুষের অভ্যাস গঠনের ক্ষেত্রে পরিবার সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।  যদি কোনো পরিবার নিয়মিত সন্তানদের নিয়ে একসঙ্গে রাতের খাবার খায়, তাহলে সন্তানরা দক্ষতার সঙ্গে স্কুলের দেয়া বাড়ির কাজ করতে পারে, স্কুলে ফলাফল ভালো করে, সন্তানদের মানসিক নিয়ন্ত্রণ হয় এবং তাদের আত্মবিশ্বাসও হয় অনেক বেশি।
কিশোর বয়সের শুরুতে জীবনের সঙ্গে যৌবনের প্রথম মিলন ঘটে। এ সময় হরমোনের উৎপাদন থাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। আর এ বয়সে সন্তানরা বিভিন্ন বিষয়ে সবচেয়ে বেশি কৌতূহলী হয়ে ওঠে। তারা একটু বেশি মুক্ত হতে চায় আর অনেক নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। কিশোরদের কাছে সবকিছু অনেক বড়, অনন্য এবং অবাক করার মতো লাগে, কারণ জীবনে প্রথম তারা এগুলোর সম্মুখীন হয়। অনেক সময় অভিভাবকরা একা তাদের কিশোর সন্তানদের সঙ্গে পেরে ওঠেন না। এভাবে অনেক কিশোর বিপথে পা দেয়। আজ আমাদের দেশে যে ৫০ থেকে ৭০ লাখ মাদকাসক্ত রয়েছে, তার একটা উল্লেখযোগ্য অংশের মাদকের সঙ্গে পরিচয় ঘটে থাকতে পারে এই কিশোর বয়সে।  খারাপ অভ্যাসের গঠন প্রক্রিয়াও ভালো অভ্যাসের মতো  একই । তাই বেশি বেশি করে ভাল কাজের দিকে মনোযোগ দিতে হবে ।

যখন বলেন আপনি এসি রুম ছাডা থাকতে পারেন না তখন কি আপনি ভেবেছেন রাস্তার পাশের মানুষ গুলোর দিন কেমন যাচ্ছে? যখন বলেন আপনি মাছ-মাংস ছাডা খেতে পারেন না তখন কি একটু ভেবে দেখেছেন যারা পুরা দিন পরিশ্রম করেও রাতের ডাল-ভাত জোগার করতে পারে না? যখন আধুনিকতার দোহাই দিয়ে ভিআইপি রান্না ঘরেও ডুকেন না তখন কি একটু ভেবেছেন গ্রাম বাংলার মা-বোনেরা কিভাবে পাতা আর কাঠ দিয়ে ফু ফু করে রান্না করে? আমরা এসি ওয়ালা অফিসে কাজ করি তাই ঘরমে বের হতে ভয় লাগে কিন্তু কখনো চিন্তা করি না প্রচন্ড ঘরমে রিক্সা চালক টা কিভাবে জীবন সংগ্রাম করে যাচ্ছে? আমরা যেটা অভ্যাস নাই বলে চালিয়ে দেয় সেটা অভ্যাস না সেটা হচ্ছে আমাদের দুর্বলতা। কারন সেটা করতে আমরা বাধ্য হয়নি তাই সেটার অভ্যাস নাই।যখন পরিস্থিতি আমদের সেদিকে ঠেলে দিবে তখন সেটা অভ্যাসে পরিনত হবে।
মানুষ অভ্যাসের দাস- এমন কথা কে না জানে, তবে এটাই শেষ কথা নয়। অপ্রয়োজনীয় বদঅভ্যাস যা মানুষের জন্য ক্ষতিকারক, ইচ্ছা করলে মানুষই পারে এমন অভ্যাস ত্যাগ করতে। বদঅভ্যাস ত্যাগ করা বা অভ্যাসকে বস করা  সহজ কাজ যদিন আপনার লক্ষ্য আর মাইন্ডসেটআপ ঠিক থাকে । অভ্যাস বদলের ও নতুন অভ্যাস সৃষ্টির এ পদ্ধতিটি বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেছেন। এটা একটি গবেষণালব্ধ বিষয়। চেষ্টা করে দেখতে পারেন। 

সংকলনেঃ আল মারুফ মৃধা  
উৎসঃ
মানুষ অভ্যাসের দাস - ড. কাজী ছাইদুল হালিম - যুগান্তর
"মানুষ অভ্যাসের দাস" নাকি "অভ্যাস মানুষের দাস"? - লেখক  নামহীন (সামহোয়্যার ইনব্লগ)
অভ্যাস মানুষের দাস, নাকি মানুষ অভ্যাসেরদাস? - -লে.কর্নেল মুহম্মদ আনোয়ার হুসাইন খান, পিএসসি (অব.)

উইকিপিডিয়া 

সোমবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৯

অনুশোচনা - আল মারুফ

অনুশোচনা কি?

অনুশোচনার সম্পর্ক অতীতের সাথে সম্পকিত। নিজের  ভুল শিকার করে  দুঃখ প্রকাশের অনুভূতিকে অনুশোচনা বলে।



কিছু আলাপঃ

অপরাধ যত ছোট বা বড় হোক না কেন প্রত্যেক  ব্যক্তিকেই তার স্বীয় কৃত কাজের জন্য একটা সময়ে প্রচন্ড রকম  অনুশোচনায় ভুগতে হয়।
অনুশোচনার কারনেই মানুষের  মনুষ্যত্ব টিকে আছে।  মানুষ একমাত্র তাদেরই বলা যায়,যাদের মানবতা এবং মনুষ্যত্ব জ্ঞান বলে কিছু রয়েছে।
একজন শক্তিবান যখন  মানুষের দূবলতাকে পুজি করে অত্যাচার চালায়।একটা সময়   গায়ের শক্তি হারিয়ে ফেলে সেও প্রচন্ড রকম অনুশোচনায় ভুগে।
দুনিয়ার একজন  দুর্নীতিবাজ ঘুষখোরকে  জীবনের একটা পযায়ে এসে যখন দেখবে তার রেখে যাওয়া সম্পদ তার কোন কাজে লাগছে না, তখন সে প্রচন্ডরকম অনুশোচনায় ভুগবে।
প্রত্যেক প্রতারক, খুনি, অসৎ রাজনীতিবীদ,ঘুষখোর নারীখোর,জুয়াখোর,নেশাখোর প্রত্যেকেই জীবনের একটা পযায়ে এসে অনুশোচনায় ভুগতে হয়।

অনুশোচনায় কখন ভুগে মানুষ?

যৌবনের শক্তি হারিয়ে শেষ বয়সে এসে বেশি ভাগ মানুষ অনুশোচনায় ভুগে।
অনেকের আবার তার আগেও  মনুষ্যত্ব কাজ করে।
আজ বা কাল, দেরিতে বা খুবই সন্নিকটে প্রত্যেক  ব্যক্তিকেই তার কাজের জন্য অনুশোচনায় ভুগতে হয়। দুনিয়ার সবচেয়ে বড় বিচারক মানুষের নিজ বিবেক। নিজ বিবেকের কাজেই প্রশ্ন করলে সে তার আসল ফলাফল পেয়ে যায়, আর তখনই অনুশোচনায় কাজ করে মনুষ্যত্বের জাগরন হয়।

প্রত্যেক ভুক্তভোগীর জন্যঃ

আপনি নিশ্চিত থাকুন আপনার উপর প্রয়োগকৃত কৃত কাজের জন্য ওই ব্যক্তি তার নিজ আদালতে একটা সময় শাস্তি পাবে। মনুষ্যত্বের মানুষিক শান্তি আপনি পাবেন।   প্রতিহিংসার পথ ছেড়ে দিন। দুনিয়াটা শুধু ভোগের জন্য নয়।  ভোগে না ত্যাগেই প্রকৃত সুখ এই বাক্যে আস্থা রাখেন।  পাপিকে নয় পাপকে ঘৃণা করুন।
আপনার নিজ আদালতে আপনাকে অপরাধী করে রাখবেন না।  জীবনটাকে জটিল করে নয় সরলতায় উপভোগ করুন।

০৭-১-২০১৯ইং