কোন ভাষায় পড়তে চান সিলেক্ট করুন

সোমবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৮

মুহূর্ত অনুভূতি (৯) - শুভ রাত্রী | কবিতা




 শুভ রাত্রী 
আল মারুফ 





চোখ বুঝে তোমায় দেখি
চোখ খুলে দেখি তুমি নাই।
স্বপ্নে তোমার আনাগোনা 
সকাল বেলা দেখি তুমি নাই।
রাত্রী আমার ভীষন ভাল
সকালের সূর্য চোখে নাহি সয়। 
আমি আবার ঘুমের ঘরে
টেইলর সুইফট তোমার আশায়।

তাহার দেখা পাই যখন 
ঘুমের ঘড়ে থাকি তখন । 
দেখা দিও লহ্মীটা ।   
শুভ রাত্রী ..................

মুহূর্ত অনুভূতি (৮) - বোকা প্রেমিক


বোকা প্রেমিক একের পর এক মেসেজ দিয়েই যাচ্ছে তার প্রেমিকাকে । ভাল লাগার মুহূতে ,হতাশার মুহূর্তে, প্রচন্ত সুখে, প্রচন্ড অসুস্থ সময়েও , ওর কাছেই নাকি প্রতিটি মুহূর্ত শেয়ার করার নামই ভালবাসা ।সে মেসেজ দিয়ে যাচ্ছে নিলজ্জের মতন , রিপ্লে পাওয়া নাকি ওর কাছে ঈদের চাদের আনন্দ । রিপ্লে তো পাবি না বরং প্রতিটি মুহূর্তে মোবাইলে মেসেজ পাওয়ার আসায় অপেহ্মায় থাকায় তোর সাথি । এমন কেন হচ্ছে ? সে তো এমন ছিল না ? এই প্রশ্ন বোকা প্রেমিক বার বার নিজ মনের কাছে করেই যাচ্ছে ।ও বুঝতে পারে না কিছু । ইদানিং মোবাইল অপারেটর কম্পানীর মেসেজ পেয়ে ও লাফ মেরে উঠে আনন্দে এই বুঝি রিপ্লে । পরহ্মনে আবার বোকা বনে যাওয়া । শূন্যে মুখ তুলে বাজে ভাষায় গালি মারে মোবাইল অপারেটর কম্পা। আমাকে  কেন মেসেজ দেস । ওর এই আচরণ বন্ধুবহলে ব্যাপক হাসির জোয়ার উঠে । বোকা প্রেমিক ও বুঝে না তার মেসেজে প্রচন্ড বিরক্তফিল করছে মেয়েটি । এড়িয়ে চলার ভাষা যে আধুনিক যুগের না বলার ভদ্রতা ,এটা বুঝে না বোকা প্রেমিক । কি চাও ভালবাসা ?এটা তো পাবি নারে বোকা প্রেমিক, দুহাত ভরে অবহেলা নে । এটাই তোর অবুঝ মনের প্রাপ্তি 

বুধবার, ৯ মে, ২০১৮

মুহূর্ত অনুভূতি (৭) - শুরুর শেষ বিন্দু


অনেকটা পথ বাকী .
যে পথের শুরুটাই চোখের সীমানার দূরে ।
দেখার শেষ প্রান্তে ।

দেখার শেষ প্রান্ত খুজতে খুজতে হয়তো আর শেষ প্রান্ত খুজে পাব না ।
আমি সামনে যত আগাবো ততোই চোখের সীমানা সামনে যাবে । আমি যে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ চোখের সীমানার শেষ থেকে শুরু করবো ।
দেখার শেষ প্রান্ত আমারটা আমি খুজে আজো কি পাব ?
কেউ একজনের সাহায্য লাগবে ।
আমি তাকিয়ে থাকবো তার দিকে সে হেটে যাবে আমার সামনের দিকে, আমি তার দিকে স্থির ভাবে তাকিয়ে থাকবো । সে সামনে দিকে এগিয়ে যাবে সামনে যাবেই । একটা সময় সে আমার চোখের সীমানার দূরে চলে যাবে ।এই পৃথিবীর বিষন্ন ধুলোয় মিশে যাবে । ওটাই 
শুরুর শেষ বিন্দু  আমার ।
আমার পথ আমি খুজে পাবোই ।

বৃহস্পতিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৮

মিনথীয়ার নদী দেখা - আল মারুফ

মিনথীয়া নদী দেখবে। মিনথীয়াকে নিয়ে আপু আর ভাবী নদীর পাড় নিয়ে গেল।
মিনথীয়া নদীর দিকে তাকিয়ে মনিকে(আপুকে মনি ডাকে আমাকে সোনা পাপ্পা)
মিনথীয়া:- মনি নদী কোথায়?
মনী:- এই যে নদী,তোমার সামনে এইটাই নদী।
মিনথীয়া:- এইগুলো তো পানি মনী।
মনী:- পানিই নদী আম্মু।
মিনথীয়া নদীর দিকে তাকিয়ে চুপ। মনে হয় এবার বুঝেছে।
বাসায় এসে জগ আর গ্লাস নিয়ে আমার রুমে হাজির।
মিনথীয়া: সোনা পাপ্পা,সোনাপাপ্পা নদী দেখবা।
আমি:- না পাপ্পা আমি এখন যাব না নদীর পাড় কাল যাব, কেমন।
মিনথীয়া: না পাপ্পা এখনই দেখবা, দেখ এই যে নদী।
আমি কম্পিউটার ছেড়ে ওর দিকে চেয়ে চেয়ে দেখতাছি। মিনথীয়া জগ থেকে পানি গ্লাসে ঢালছে। আর মুখে ছন্দের তালে তালে এই যে নদী, এই যে নদী, আমার নদী। আমি কিছুই বুঝলাম না। পানিই নদী। জগের পানি গ্লাসে কেমনে নদী। বুঝলাম না কিছু।আমি আগে ওর নদী দেখার কাহিনী শুনি নাই কেমনে বুঝবো।
বাচ্চা মানুষ ওরা কি বলে ওরাই বুঝে। হইতোবা নদী নদী খেলা খেলতাছে। ওর দিকের মনোযোগ আবার ফিরে গেল। কিন্তু মিনথীয়া থেমে নাই। ও নদী নদী খেলা খেলতাছেই। বেশ কিছুহ্মন পর আমার রুমে আপুর প্রবেশ আপু তাকিয়ে মিনথীয়ার নদী নদী খেলা দেখছে তার মুচকি হাসছে। ভাবীকে ডেকে আমার রুমে নিয়ে আসছে। সবাই ওর নদী নদী খেলা দেখছে।
মনী:- আম্মু কি করসো?
মিনথীয়া:-মনী এই যে দেখ আমার নদী।
সবাই হেসে দিল একসাথে।
আমি এখন ও বুঝি নাই কি হচ্ছে। যখন শুনলাম ওর নদী দেখার কাহিনী। আপু মাত্র এক বাক্যে বুঝেয়ে ছিল পানিই নদী। ও পানিকে এই নদী ধরে নিয়েছিল 😁😂
পরে ওকে সময় নিয়ে বুঝানো হল নদী মানি কি, তীর কিনারা,পানি, মাছ, প্রকৃতিসহ বিস্তারিত বলা হল।
মিনথীয়া এখন নদী কি বুঝে ভাল ভাবেই বুঝে।

মূলকথা : বাচ্চাদের শেখাতে তিল পরিমান অধৈয্যশীল হলে চলবে না, এদের সময় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে সুন্দর ভাবে বুঝাতে হবে। শিশুকাল থেকেই প্রকৃত মেধাবিকাশ ঘটুক প্রতিটি শিশুর।


শনিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৮

দেলোয়ার হোসেন দুলাল স্যার ও হোস্টেল জীবনের স্মৃতিচারণ - আল মারুফ মৃধা



ইন্টারমিডিয়েটের দুইটা বছর(০৯-১০) হোস্টেলে থাকার সোভাগ্য হয়েছিল আমার । মানুষের সাথে মেশা জীবন গুছিয়ে চলার প্রকৃ্ত শিহ্মা পেয়েছি হোস্টেল লাইফ থেকে । ছাত্র জীবনে হোস্টেলে থাকার সোভাগ্য পেয়েছি এই দুইটা বছর আর কখনো হয়নি । সুযোগ টি হয়েছিল স্যারের হাত ধরেই । আব্বুর সাথে যখন প্রথম কলেজে আসি উনার কাছেই আমাকে তুলে দিয়েছিল ,অভিভাবকের মতন আমাকে উনি আশ্রয় দিয়েছেন হোস্টেলের ২১৪ নাম্বার রুমে । তখন স্যার ছিলেন কলেজ হোস্টেলের দায়িপ্তে ।এই দুইটা বছর স্যারকে খুব কাছ থেকে দেখার আর সানিধ্য পাবার সুযোগ হয়েছিল আমার ।
কলেজের নীচ তলায় নামাজের রুমের কাছেই ছিল স্যারের অফিস । নামাজের জন্য হোস্টেলের প্রত্যকের উপর বিশেষ নজরদারী রাখতেন । রীতিমত নামাজ টাইমে মাঝে মাঝে হোস্টেলের প্রত্যেক রুম থেকে ছাত্রদের ধরে ধরে নামাজে নিয়ে যেতেন । আমার রুমে প্রায় দিনেই আসতেন তার মুখে “মারুফ” ডাকটি আমাকে আরো সচেতন হতে আরো মনোযোগী হত উৎসাহ দিয়েছে ।নামাজের ফাকি দেওয়ার কারনে প্রায় দিনেই ফজর বেলার নামাজের আগে সবাইর রুম থেকে জেগে তুলার মহান দায়িপ্ত ধরিয়ে দিতেন। মাঝে মাঝে তার অফিস রুমে তরফ করতেন উদ্দেশ্য কথা বলতেন বিভিন্ন ধরনের কথা ফাক বুঝে নামাজ পড়িয়ে নিতেন ।
একবার তার রুমে আমাকে ডেকে হোস্টেলের ম্যানেজারের দায়িপ্ত ধরিয়ে দিয়েছেন এর কারন
এক. তিনি আমার উপর আস্তা রেখেছেন
দুই.তিনি আমাকে সোজা করেছেন এই মহান দায়িপ্ত দিয়ে ।
ভাবা যায় এটা শুধু কলেজ নয় বিশ্ববিদ্যালয় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ছাত্রদের মিলন এখানে , হোস্টেলে হোস্টেলের বাহিরের কিছু মিল নিয়ে প্রায় (১৫০০-২০০০) ছাত্রদের খাবারের দায়িপ্ত একটা একাদশ শ্রেনীর ছাত্রের হাতে তা কি আদো সম্ভব ! সম্ভব নয় এতো বড় দায়িপ্ত । তিনি মূলত আমার কাধে দায়িপ্ত তুলে দায়িপ্ত যে কত ভারী জিনিস তা বুঝইয়ে দিয়েছেন । মানুষ না শাসিয়ে সোজা করা যায় এই শিহ্মা একমাত্র স্যারের কাছ থেকে এবং আমার বড় ভাই আল- মামুনের কাজ থেকে পেয়েছি ।
গতকাল বিকাল বেলা থেকেই প্রচন্ড মন খারাপ স্যারের কাজ থেকে ভালবাসাগুলো কষ্টকে ভীষন ভাবে ভারী করে তুলে নিজেকে । ভাল মানুষগুলো আল্লাহর প্রিয় তাই এভাবেই তাড়াতারী না ফেরার দেশে জান্নাতে চলে যায় । আল্লাহ স্যারকে জান্নাতবাসী করো ।
ব্যক্তিজীবনে স্যার ছাত্রজীবন থেকেই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক এক পরিছন্ন রাজনীতিবীদ , ১৯৯০এর ঢা:বি:-এর বঙ্গবন্ধু হলের হ্যাপি-আলতাফ-দুলাল পরিষদের বিপ্লবী ছাত্রনেতা। কালকিনি পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সফল সভাপতি ,কালকিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মানিত সদস্য ।
সব পরিচয় ছাপিয়ে দিয়ে তিনি বেচে থাকবেন হাজার বছর তার হাজার ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান,একজন দীনের মানুষ ,মানুষ গড়ার কারিগর । বেচে থাকুক আমাদের মাঝে অধ্যাপক আল-হাজ্ব দেলোয়ার হোসেন দুলাল স্যার ।
তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন সকলদের সুস্থথা ও কল্যান কামনা করি ।